নিজস্ব প্রতিবেদক

কেজিএফ ২ এ রকি ভাই তার সব সোনা নিয়ে বঙ্গোপসাগরে ঝাপ দেন। ১৯৮৩ সালের সেই স্বর্ণ সমুদ্রের তলদেশ হতে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়নি ভারত সরকার।
তবে কালের প্রবাহে এবং জোয়ার-ভাটার প্রভাবে সেই সোনা ভেসে ভেসে চলে আসে নগরের সর্ববৃহৎ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজের বিরাট নালায়। এবং তা উদ্ধার করেন প্রতিষ্ঠানের মালি লিপু কুমার শীল।
এই সোনার বারগুলো বিদেশে পাচার করে অজস্র বৈদেশিক মূদ্রা উপার্জন করা সম্ভব বলে দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞগণ। এই বিপুল পরিমান সম্পদ পেয়ে রাতারাতি বড়লোক হয়ে যায় সিসিপিসি।

এ বিষয়ে ডিইলি সিসিপিসির প্রতিবেদক উদ্ধারকারী ও কলেজের নায়ক লিপুকে তার অনুভূতি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি ক্ষেপে উঠে বলেন,
“Don’t touch me, I am famous!”
তার চিল্লানি শুনে ভয় পেয়ে ডেইলি সিসিপিসির প্রতিবেদক দ্রুত কেটে পড়েন।
পরে কতৃপক্ষ থেকে জিজ্ঞাসা করলে তারা নিশ্চিত করেন এই অর্থ দিয়ে সিসিপিসি বিরাট ইফতার পার্টির আয়োজন করবে।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক কর্মচারী জানান,
“সিসিপিসি এখন বিরাট কোটিপতি। দুই-তিনটা ইফতার পার্টি দেয়া এখন আমাদের বায় হাতের খেলা!”
ইফতার পার্টির মেন্যু হিসেবে তিনি জানান; খাসির মাথা, গরুর ভুড়ি, মুরগীর পুচ্ছ, হরিণের ঠ্যাং, মাছের লেজসহ আরো ব্যাপক উপাদেয় খাদ্যের আয়োজন থাকবে। এ পরিপ্রেক্ষিতে সকল শিক্ষার্থী হতে ২,৫০০ টাকা চাদা নির্ধারণ করেছে কতৃপক্ষ। তবে রকি ভাইয়ের সোনা বিক্রি করে কোটিপতি হওয়ার পরেও কেন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হচ্ছে এমন প্রশ্ন করলে, কতৃপক্ষ তা এড়িয়ে যায়।